শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ফোর্বসের তালিকায় ৯ বাংলাদেশি বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা একসময় বিশ্বে রোল মডেল হবে চাহিদার চেয়ে ২৩ লাখ কোরবানির পশু বেশি আছে : মন্ত্রী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এডিপির সর্বোচ্চ ৩৮৮০৯ কোটি টাকা বরাদ্দ পাচ্ছে এলজিইডি বিদেশী সাহায্যপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলো দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দুবাইয়ে বিদেশীদের গোপন সম্পদের পাহাড়, তালিকায় ৩৯৪ বাংলাদেশীও সেলিম প্রধানকে জরিমানা, প্রার্থিতা বাতিলের নির্দেশ বহাল ফের আটকে গেলো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অর্থ ছাড় উপজেলা নির্বাচন জনগণের সাথে প্রতারণা করার নির্বাচন : রিজভী মালয়েশিয়ার হুমকি : হামাস নেতাদের সাথে আনোয়ারের ছবি ফেরাল ফেসবুক
আদালতকে ‘কসাইখানা’ বানিয়েছে সরকার: রিজভী

আদালতকে ‘কসাইখানা’ বানিয়েছে সরকার: রিজভী

স্বদেশ ডেস্ক:

দেশের আদালতকে সরকার কসাইখানায় পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে তারানা হালিমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা খারিজের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার দুপুরে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস এর উদ্যোগে জিয়াউর রহমান ও তার পরিবারকে নিয়ে মিথ্যা কুৎসা রটনার জন্য নির্মিত নাটক ‘ইনডেমনিটি’ গণমাধ্যমে প্রচারের প্রতিবাদে এই মানববন্ধন হয়।

এ সময় রিজভী বলেন, ‘এই সরকারের আমলে এই মামলা ওরা কখনোই টিকতে দেবে না। কারণ কোর্ট তাদের, আদালত তাদের। এই আদালতগুলোকে তারা (সরকার) কসাইখনায় পরিণত করেছেন বিরোধী দলকে দমন করার জন্য, শাস্তি দেওয়ার জন্য। এই সরকার ডিক্টেটর নয়, নাৎসীবাদের পর্যায় চলে গেছে। ডিক্টেটরের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে তাকে পতন করা যায় কিন্তু নাৎসীবাদকে পতন করতে হলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো একটা যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে-এরকম একটি বিষয়ের প্রয়োজন হয়। ফ্যাসিবাদ ও নাতসীবাদ-এদেরকে ঠেকাতে গিয়ে কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয়েছিল।‘

মামলাটি দায়েরের জন্য ছড়াকার আবু সালেহকে ‘সাংস্কৃতিক বীর’ বলে অভিহিত করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘এই সরকারের সাথে জনগণ নেই। দুই ঠ্যাং বা পায়ের ওপর নির্ভর করে আছে তারা। একটা হচ্ছে যুবলীগ-ছাত্রলীগের স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী আরেকটা হচ্ছে তাদের সাজানো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।‘

তিনি বলেন, ‘সাংস্কৃতিক সংগ্রামের ওই পরজীবীদের যদি আমরা প্রতিহত করতে না পারি দেশের সার্বভৌমত্ব থাকবে না, স্বাধীনতা থাকবে না। এখন বলা হয় প্রয়াণ দিবস। আমরা ছোট বেলা থেকে শুনে এসেছি মৃত্যু দিবস। আমরা এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ কেউ মারা গেলে তাকে মরহুম বলে। এখন প্রয়াত বলা হয়। এটা খুব সুক্ষ্ণভাবে এই সাংস্কৃতিক আগ্রাসনগুলো বিস্তার লাভ করাচ্ছে। কার স্বার্থে করছে তা নিশ্চয় জানেন? কোন সংস্কৃতিকে অঙ্গীভূত করার জন্য এই সরকার এবং তাদের অনুগত সংস্কৃতিজীবীরা কলাম লেখকরা এই কাজটি করছে সেটা আপনারা স্পষ্টভাবে জানতে চান। ওরা আমাদের দীর্ঘদিনেরে যে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এটাকে ধবংস করে, অন্য কোনো দেশের  সাংস্কৃতিক অনুসঙ্গ বানাতে চান, এর অঙ্গীভুত বানাতে চান। সেই কারণে আজকে তারা এই কাজগুলো করছে।‘

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877